সাধিত ধাতু কাকে বলে :-
মৌলিক ধাতু বা নাম শব্দের পরে আ-প্রত্যয়যোগে যে ধাতু গঠিত হয়ে থাকে, তাকেই সাধিত ধাতু বলে।
যেমন - দেখ্ + আ = দেখা, পড়+আ = পড়া, বল+আ = বলা।
সাধিত ধাতুর সঙ্গে কাল ও পুরুষসূচক বিভক্তি যুক্ত করে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়। যেমন মা শিশুকে চাঁদ দেখায়। (এখানে দেখ্+আ+বর্তমান কালের সাধারণ নামপুরুষের ক্রিয়া বিভক্তি 'য়' দেখায়)। এরূপ শোনায়, বসায় ইত্যাদি।
সাধিত ধাতুর কয় প্রকার ও কি কি :-
সাধিত ধাতু তিন প্রকার। যথা:
ক. প্রযোজক ধাতু,
খ. নাম ধাতু এবং
গ. কর্মবাচ্যের ধাতু।
প্রকৃতি
কারক
যতি
বিভক্তি
নাম ধাতু কাকে বলে :-
বিশেষ্য, বিশেষণ ও অনুকার অব্যয়ের পরে আ-প্রত্যয়যোগে যে ধাতু গঠিত হয় তাকে নাম ধাতু বলে।
যেমন -
ঘুম্ + আ = ঘুমা : বাবা ঘুমাচ্ছেন।
ধমক্ + আ = ধমকা : আমাকে যতই ধমকাও, আমি কাজ করব না।
হাত্ + আ = হাতা : অন্যের পকেট হাতানো আমার স্বভাব নয়।
প্রকৃতি
কারক
যতি
বিভক্তি
মৌলিক ধাতুর পরে আ-প্রত্যয়যোগে যে ধাতু গঠিত হয়, তাকে প্রযোজক ধাতু বা ণিজন্ত ধাতু বলে।
যেমন -
পড়্ + আ = পড়া : শিক্ষক ছাত্রদের পড়াচ্ছেন।
কর্ + আ = করা : সে নিজে করে না, অন্যকে দিয়ে করায়।
নাচ্ + আ = নাচা : 'ওরে ভোঁদড় ফিরে চা, খুকুর নাচন দেখে যা।
কর্মবাচ্যের ধাতু কাকে বলে :-
বাক্যে কর্তার চেয়ে কর্মের সাথে যখন ক্রিয়ার সম্পর্ক প্রধান হয়ে ওঠে, তখন সে ক্রিয়াকে কর্মবাচ্যের ক্রিয়া বলে। কর্মবাচ্যের ক্রিয়ার মূলকে কর্মবাচ্যের ধাতু বলে।
মৌলিক ধাতুর সাথে আ-প্রত্যয়যোগে যে ধাতু গঠিত হয় তা কর্মবাচ্যের ধাতু। যেমন :
কর্ + আ = করা : আমি তোমাকে অঙ্কটি করতে বলেছি।
হার্ + আ = হারা : বইটি হারিয়ে ফেলেছি।
খা + ওয়া = খাওয়া : তোমার খাওয়া হলে আমাকে বলো।